ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এনসিপির মঞ্চ ভাঙচুর পরে সমাবেশ শুরু Logo হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: মাহিন ও রবিন রিমান্ডে Logo নির্বাচনে বোঝা যাবে কারা দুই-তিনটা সিট পাবে, দেশছাড়া হবে: দুদু Logo দূষণবিরোধী অভিযানে ছয় মাসে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা Logo চকরিয়ায় মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান : কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার Logo কক্সবাজার হলিডে মোড় থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার Logo জামায়াতের সঙ্গে জোট বাদ দিয়ে এনসিপির জন্য দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন আহমেদ Logo চট্টগ্রাম বোর্ড: পাশের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ Logo কুমিল্লায় বুড়িচং মোকাম বড় বাড়ীর রাস্তা বন্ধ করে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

পুলিশকে সহযোগিতা করুন: উপদেষ্টা মাহফুজ

পুলিশকে সহাযোগিতা করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার রাত এগারোটায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলার সীমান্ত পাঠকদের সুবিধার্থে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো: “গত কয়েকদিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এক্টিভ হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেফতার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। কিন্তু, তারাও পুলিশ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি এক্টিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার শঙ্কা রয়ে যায়।

পুলিশের Morale (মনোবল) একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল। কিন্তু, জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়োর ফল বিরূপ হতে বাধ্য। আর হ্যাঁ, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদী কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও  কিভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু, একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির উপর বর্তায়। কোন ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।

সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী এবং নাগরিকদের দাবি প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু, মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে- এ সকল অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটেজকারীদের নিতে হবে।

আর, মনে রাখবেন – Justice Hurried, Justice Burried. যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে মবের বিচারের মানসিকতা আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান। কিন্তু, নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।

সরকারবিরোধিতা কোন ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট না, কমরেডস! গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান রইল। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে”

ট্যাগস :

এনসিপির মঞ্চ ভাঙচুর পরে সমাবেশ শুরু

পুলিশকে সহযোগিতা করুন: উপদেষ্টা মাহফুজ

আপডেট সময় ০৬:২২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

পুলিশকে সহাযোগিতা করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার রাত এগারোটায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলার সীমান্ত পাঠকদের সুবিধার্থে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো: “গত কয়েকদিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এক্টিভ হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেফতার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। কিন্তু, তারাও পুলিশ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি এক্টিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার শঙ্কা রয়ে যায়।

পুলিশের Morale (মনোবল) একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল। কিন্তু, জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়োর ফল বিরূপ হতে বাধ্য। আর হ্যাঁ, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদী কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও  কিভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু, একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির উপর বর্তায়। কোন ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।

সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী এবং নাগরিকদের দাবি প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু, মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে- এ সকল অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটেজকারীদের নিতে হবে।

আর, মনে রাখবেন – Justice Hurried, Justice Burried. যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে মবের বিচারের মানসিকতা আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান। কিন্তু, নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।

সরকারবিরোধিতা কোন ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট না, কমরেডস! গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান রইল। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে”