এখন আর সেই সমাজ নেই, বিকাল বেলায় পুকুর পাড়ে আড্ডা, হা- ডু -ডু/কাবাডি খেলা। রাতের বেলায় কানামাছি খেলা, চাঁদনী রাতে সবাই বসে গল্প করা।ছোট বড় সবাই মিলে রুই -কাতলা বলে কপালে টোকা মারা।গরম কালে রাতে উঠানে ঘুমানো। ধান কাটার মৌসুমে একে অপরকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ধান মাড়াইয়ের কাজ শেষ করা হঠাৎ বৃষ্টি আসলে তাড়াহুড়ো করে গোলায় ধান তোলা। কিছু কিছু ধান পানিতে ভেসে যেত তবুও ছিলনা হিংসা, বিদ্ধেষ,রেষারেষি, একে অপরের প্রতি কত শ্রদ্ধা, ভক্তি,আদর, মায়া, মমতার স্নেহের বাঁধনে বাধা।
কালের বিবর্তনে সব হারিয়ে গেছে। আজ সব হারিয়ে যে যার স্বার্থে ব্যস্ত তখনও কি স্বার্থ ছিলনা!? হা ছিল তবে স্বার্থের আড়ালে ভালবাসা ছিল বেশি।দিন যায় কথা থাকে বাঙ্গালীর অতীত,ঐতিহ্য ছিল ভরপুর অথচ বর্তমানে আমরা যে যার মত একাকার,আছে শুধু ঘৃণা,হিংসা,ঈর্ষা, স্বার্থপরতা কে কত উঁচুতে উঠতে পারে,কাকে ঠকিয়ে কে দিনশেষে সেরা হতে পারে!সম্পদ,যশ খ্যাতির প্রতিযোগিতা মানুষের হৃদয়কে করেছে কংক্রিট আর লোহার মত শক্ত। নেই কোন শ্রদ্ধা,মান,সম্মান।
আর ঋতু পরিবর্তন বলতে আমরা সাধারণত আবহাওয়ার রদবদল, খাবারে পরিবর্তন কিংবা পোশাকের ভিন্নতা বুঝি। কিন্তু প্রকৃতিতে অনেক কিছু ঘটে আরও সূক্ষ্মভাবে। বেশিরভাগ পাখির পালক সারা বছর একই থাকলেও কিছু পাখি ঋতু ভেদে পালকের রং বদলায়। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটা ওদের টিকে থাকার কৌশলও বটে। টিকে থাকা দরকার তবে নিজেদের হর্তাকর্তা মনে করে নই। প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের কথা আমাদের মাথায় থাকে না ক্ষমতার মোহে।
মুরব্বিরা আজ উপেক্ষিত গুণীজনরা অবহেলিত,উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা হিংসার আক্রোশে পতিত,সমাজের আনাচে কানাছে ষড়যন্ত্রের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে হ্যামিলন শহরের ইঁদুরের মত!নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটে গোত্রে গোত্রে!যে যার মত বাঁশি বাজায় যদিও সেই বাঁশিতে নেই কোন অতীতের সুর! এটাই কি জীবন! আফসোস!আসুন আমরা সবাই মানুষ হই।
উপলব্ধি মাত্র।