ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহিদুল আলম ও আমরা গাজার পাশে আছি : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস |ফাইল ছবি


আমরা গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা ও নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের।

গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের পাশে অন্তর্বর্তী সরকার সব সময় আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা ও নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের।

শহিদুল এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন সেই একই সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মনোবল নিয়ে, যা তিনি দেখিয়েছিলেন ২০১৮ সালে হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে ১০৭ দিন কারাবন্দি অবস্থায়ও অটুট রেখে। আজ তিনি বাংলাদেশের অদম্য চেতনার এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।বাংলাদেশী সফটওয়্যার

গত মাসে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে আমি যেমন ঘোষণা করেছিলাম-‘মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতাই ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই অগ্রগতি, যা মানবজাতি দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে।

‘গাজায় এই ট্র্যাজেডি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। শিশুরা ক্ষুধায় মরছে। বেসামরিক মানুষ নির্বিচারে নিহত হচ্ছে। হাসপাতাল ও বিদ্যালয়সহ পুরো মহল্লাগুলো মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা শহিদুল আলমের পাশে আছি, গাজার পাশে আছি-এখন এবং সর্বদা।

ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন ও সর্বাত্মক অবরোধের ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ ভেঙে ফিলিস্তিনের ত্রাণ পৌঁছে দিকে গত মাসের শুরুর দিকে গাজার উদ্দেশে রওনা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৫টির বেশি নৌযান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্যোগে পরিচালিত ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নেয়ার তথ্য জানান শহিদুল আলম। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির উদ্দেশে রওনা দেন। সেখান থেকেই গাজার উদ্দেশে এই ফ্লোটিলায় অংশ নেন শহিদুল আলম।

মিয়ানমার সীমান্তে মধ্য রাতে গোলাগুলি, এপারে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা যুবক

শহিদুল আলম ও আমরা গাজার পাশে আছি : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস |ফাইল ছবি


আমরা গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা ও নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের।

গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের পাশে অন্তর্বর্তী সরকার সব সময় আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা ও নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের।

শহিদুল এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন সেই একই সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মনোবল নিয়ে, যা তিনি দেখিয়েছিলেন ২০১৮ সালে হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে ১০৭ দিন কারাবন্দি অবস্থায়ও অটুট রেখে। আজ তিনি বাংলাদেশের অদম্য চেতনার এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।বাংলাদেশী সফটওয়্যার

গত মাসে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে আমি যেমন ঘোষণা করেছিলাম-‘মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতাই ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই অগ্রগতি, যা মানবজাতি দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে।

‘গাজায় এই ট্র্যাজেডি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। শিশুরা ক্ষুধায় মরছে। বেসামরিক মানুষ নির্বিচারে নিহত হচ্ছে। হাসপাতাল ও বিদ্যালয়সহ পুরো মহল্লাগুলো মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা শহিদুল আলমের পাশে আছি, গাজার পাশে আছি-এখন এবং সর্বদা।

ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন ও সর্বাত্মক অবরোধের ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ ভেঙে ফিলিস্তিনের ত্রাণ পৌঁছে দিকে গত মাসের শুরুর দিকে গাজার উদ্দেশে রওনা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৫টির বেশি নৌযান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্যোগে পরিচালিত ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নেয়ার তথ্য জানান শহিদুল আলম। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির উদ্দেশে রওনা দেন। সেখান থেকেই গাজার উদ্দেশে এই ফ্লোটিলায় অংশ নেন শহিদুল আলম।