ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ৬২ হাজার ৮৯৫ Logo সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার, যুবক আটক  Logo জুলুস হবে জামেয়া থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত রোডম্যাপ ঘোষণা Logo তিন দফা দাবিতে চট্টগ্রামে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo চট্টগ্রাম বাকলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চায় চসিক Logo ভুয়া ডাক্তারকে জরিমানা, ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানে সিলগালা Logo উখিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরওয়ার সভাপতি ও সোলতান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত Logo উখিয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ১০ Logo রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধান খুঁজছে বাংলাদেশ Logo দাঁড়িপাল্লার বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে:শামসুল আলম বাহাদুর

সাবের-মান্নানের মুক্তির প্রতিবাদে গণ অধিকারের মশাল মিছিল

ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা এবং ফ্যাসিবাদের দোসর সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানের মুক্তির প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে সব দোসর ঘাপটি মেরে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে যে সব শপথবদ্ধ মুজিববাদীরা রয়েছে, তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠবে। কেন সাবেক হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানকে আটক করা হলো? কেনই বা ক্লিন ইমেজের দাবি করে মুক্তি দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে তো আওয়ামী লীগ সাহস পেয়ে যাবে। তারা মনে করবে অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগের প্রতি সফট কর্ণার রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে কিন্তু এই সরকারকে তার দায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপ্লব চালিয়ে গিয়েছি। আমরা কখনোই কোনো সরকারের দালালি করি নাই। আমরা এই সরকারেরও দালাল হবো না। তাদেরকে রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সহযোগিতা করব, একই সঙ্গে তারা ভুল করলে সমালোচনা করব।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কার করতেই হবে। এর আগে তাদেরকে সরানো যাবে না। তবে তারা যদি মনে করে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে কিন্তু আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির বিষয়ে ছাত্র-জনতার জিরো টলারেন্স।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, সাবেরের মতো ফ্যাসিবাদের দালালরা জামিনে বের হয়ে আসলে, মান্নানের মত খুনের পরিকল্পনাকারীরা জামিন পেলে, গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আওয়ামী লীগ আবার পুনর্জীবিত হবে। আমাদের সবার জেল ফাঁসি হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তার দোষরদের কোনো জামিন দেওয়া চলবে না। দেশ সংস্কারের পরে জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলে, সেটা ভাবা যেতে পারে।

তিনি বলেন, যে বিচারকরা তাদের জামিন দিয়েছেন, তাদের বরখাস্ত করতে হবে। প্রশাসন ব্যবসায়ী অঙ্গন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে উৎখাত করতে হবে। নয় তো ঊর্মি তাবাসসুমের মতো ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা গোখরো সাপের মতো ছোবল দেবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন,পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অর্ণব হোসেন, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক প্রক্রিয়া জাবেদ মায়া, দপ্তর সম্পাদক সানাউল্লাহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ৬২ হাজার ৮৯৫

সাবের-মান্নানের মুক্তির প্রতিবাদে গণ অধিকারের মশাল মিছিল

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা এবং ফ্যাসিবাদের দোসর সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানের মুক্তির প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে সব দোসর ঘাপটি মেরে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে যে সব শপথবদ্ধ মুজিববাদীরা রয়েছে, তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠবে। কেন সাবেক হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানকে আটক করা হলো? কেনই বা ক্লিন ইমেজের দাবি করে মুক্তি দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে তো আওয়ামী লীগ সাহস পেয়ে যাবে। তারা মনে করবে অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগের প্রতি সফট কর্ণার রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে কিন্তু এই সরকারকে তার দায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপ্লব চালিয়ে গিয়েছি। আমরা কখনোই কোনো সরকারের দালালি করি নাই। আমরা এই সরকারেরও দালাল হবো না। তাদেরকে রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সহযোগিতা করব, একই সঙ্গে তারা ভুল করলে সমালোচনা করব।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কার করতেই হবে। এর আগে তাদেরকে সরানো যাবে না। তবে তারা যদি মনে করে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে কিন্তু আমরা মেনে নেব না। আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির বিষয়ে ছাত্র-জনতার জিরো টলারেন্স।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, সাবেরের মতো ফ্যাসিবাদের দালালরা জামিনে বের হয়ে আসলে, মান্নানের মত খুনের পরিকল্পনাকারীরা জামিন পেলে, গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আওয়ামী লীগ আবার পুনর্জীবিত হবে। আমাদের সবার জেল ফাঁসি হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তার দোষরদের কোনো জামিন দেওয়া চলবে না। দেশ সংস্কারের পরে জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলে, সেটা ভাবা যেতে পারে।

তিনি বলেন, যে বিচারকরা তাদের জামিন দিয়েছেন, তাদের বরখাস্ত করতে হবে। প্রশাসন ব্যবসায়ী অঙ্গন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে উৎখাত করতে হবে। নয় তো ঊর্মি তাবাসসুমের মতো ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা গোখরো সাপের মতো ছোবল দেবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন,পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অর্ণব হোসেন, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক প্রক্রিয়া জাবেদ মায়া, দপ্তর সম্পাদক সানাউল্লাহ প্রমুখ।