ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মিয়ানমার সংঘাত

সীমান্তে আবারও টানা ৫ দিন পর বিস্ফোরণের শব্দ

কক্সবাজার প্রতিবেদক


মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপে। এরপর টানা পাঁচদিন শান্ত থাকার পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এপোর সীমান্তে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। দুপুর আড়াই টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ পায় সীমান্তের মানুষ।

সীমান্ত এলাকাবাসী জানিয়েছেন,টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার,ওয়াব্রাং, পুরানবাজার,ফুলের ডেইল,চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া,রঙ্গিখালী,লেদা,মুচনী,দমদমিয়া, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া,কেকে পাড়া,জালিয়াপাড়া থেকে শুরু করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের নাফনদের ওপারে বিকট শব্দের বিস্ফোরণ হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা।

নাফনদের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরের বলিবাজার, নাকপুরা,দক্ষিণে হাস্যুরাতা,নাইক্ষ্যংদিয়া, মাঝামাঝি সিকদারপাড়া, দলিয়াপাড়া, কদিরবিল,নুরুল্যাহপাড়াকে ঘিরে মর্টার শেলসহ নানা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সীমান্ত এলাকার মানুষের ধারণা এবং টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বাংলার সীমান্তকে বলেন,মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই এখন আরাকান আর্মির দখলে। সম্ভবত এটা এলাকা পুনঃরুদ্ধারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী চেষ্টা করছে। এর জের ধরে হামলা হচ্ছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বাংলার সীমান্তকে জানান,গত ৫ দিন ধরে হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, ৫ দিন পর সকাল থেকে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফনদের ওপারে আবারও সংঘর্ষ চলছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আক্তার কামাল বলেন, গত ৫ দিন ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। দ্বীপে বসেই শোনা যাচ্ছে এসব শব্দ। দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু হয়েছে।

সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

ট্যাগস :

মিয়ানমার সংঘাত

সীমান্তে আবারও টানা ৫ দিন পর বিস্ফোরণের শব্দ

আপডেট সময় ১২:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার প্রতিবেদক


মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপে। এরপর টানা পাঁচদিন শান্ত থাকার পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এপোর সীমান্তে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। দুপুর আড়াই টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ পায় সীমান্তের মানুষ।

সীমান্ত এলাকাবাসী জানিয়েছেন,টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার,ওয়াব্রাং, পুরানবাজার,ফুলের ডেইল,চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া,রঙ্গিখালী,লেদা,মুচনী,দমদমিয়া, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া,কেকে পাড়া,জালিয়াপাড়া থেকে শুরু করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের নাফনদের ওপারে বিকট শব্দের বিস্ফোরণ হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা।

নাফনদের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরের বলিবাজার, নাকপুরা,দক্ষিণে হাস্যুরাতা,নাইক্ষ্যংদিয়া, মাঝামাঝি সিকদারপাড়া, দলিয়াপাড়া, কদিরবিল,নুরুল্যাহপাড়াকে ঘিরে মর্টার শেলসহ নানা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সীমান্ত এলাকার মানুষের ধারণা এবং টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বাংলার সীমান্তকে বলেন,মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই এখন আরাকান আর্মির দখলে। সম্ভবত এটা এলাকা পুনঃরুদ্ধারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী চেষ্টা করছে। এর জের ধরে হামলা হচ্ছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বাংলার সীমান্তকে জানান,গত ৫ দিন ধরে হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, ৫ দিন পর সকাল থেকে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফনদের ওপারে আবারও সংঘর্ষ চলছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আক্তার কামাল বলেন, গত ৫ দিন ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। দ্বীপে বসেই শোনা যাচ্ছে এসব শব্দ। দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু হয়েছে।

সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।