ছবি: সংগ্রহীত: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে অধ্যক্ষ এবং ছাত্রলীগ নেতারা পেটাচ্ছেন ছাত্রদের। সংগ্রহীত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। এ ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজে। ছবিতে দেখা যায় কলেজের অধ্যক্ষ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে ফটোসেশন করছেন।
কলেজের অধ্যক্ষের সাথে ফটোসেশন করা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলার আসামি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবরাজ আল দুর্জয়, রবিউল ইসলাম জয় এবং ইমন। এরা তিনজনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ছাত্রদের পর হামলাকারী হিসেবে মামলার আসামি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে উপজেলার শশীদল রেলস্টেশনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু তৈয়ব অপির সাথে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালিয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ধৈর্য এবং রবিউল। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে সেবা করায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, গত ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগানোর সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল ছাত্রলীগ নেতা ইমনের ভাই হৃদয় খান।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শাহবাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির বাংলার সীমান্তকে বলেন, এরা ছাত্রলীগ করে আমি জানতাম না। কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। নবীনবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য এসেছিল।
ছাত্রলীগ নেতারা অবাধে বাজারে ঘোরাফেরা করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি তদন্ত টমাস বরুড়া বলেন, আমাদের ব্রাহ্মণপাড়া থানায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তবে আদালতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের অনেকের নামে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের নির্দেশ আসলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব । আর সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজে আমি যাইনি।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আমি যাইনি। অধ্যক্ষ সাহেব কার সাথে ছবি উঠিয়েছে এটা আমি বলতে পারব না। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে ছবি উঠানো আপত্তিকর বিষয় । এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সাহেব বলতে পারবেন।