চলতি এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন দুপুর ২টায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রতিটি শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছর চট্টগ্রাম বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী ৭৮ হাজার ৭২৫ জন। ছাত্র ৬১ হাজার ৬৬৩ জন। মোট পাশ করেছেন ১ লাখ ১ হাজার ১৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৪ হাজার ৩৫৩ জন। ছাত্রী ৫৬ হাজার ৮২৮ জন। ফেল করেছেন ৩৯ হাজার ২০৭ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ৩১০ জন, ছাত্রী ২১ হাজার ৮৯৭ জন।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। গতবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষার গ্রেডিং সিস্টেমে, প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে লেটার গ্রেড এবং গ্রেড পয়েন্ট দেওয়া হয়।
সাধারণত, ৮০ বা তার বেশি পেলে এ+ (৫ দশমিক ০০), এ পেলে ৪ দশমিক ০০, এ- পেলে ৩ দশমিক, পেলে ৩ দশমিক ০০, সি পেলে ২ দশমিক ০০, ডি পেলে ১ দশমিক ০০ এবং এর নিচে এফ (০ দশমিক০০) গ্রেড দেওয়া হয়।
এখানে গ্রেড এবং নম্বরগুলোর একটি বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো: ৮০-১০০ নম্বর: এ+ (জিপিএ: ৫ দশমিক ০০), ৭০-৭৯ নম্বর: এ (জিপিএ: ৪ দশমিক ০০), ৬০-৬৯ নম্বর: এ- (জিপিএ: ৩ দশমিক ৫০), ৫০-৫৯ নম্বর: বি (জিপিএ: ৩ দশমিক ০০), ৪০-৪৯ নম্বর: সি (জিপিএ: ২ দশমিক ০০), ৩৩-৩৯ নম্বর: ডি (জিপিএ: ১ দশমিক ০০), ৩২ বা তার কম: এফ (জিপিএ: ০ দশমিক ০০)।
এ গ্রেডগুলো মূলত সামগ্রিক গ্রেড পয়েন্ট (জিপিএ) গণনার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্টকে মোট বিষয় সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে জিপিএ হিসাব করা হয়।