ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ‘নাতাঞ্জ’ ক্ষতিগ্রস্ত

ইসরায়েলের শুক্রবারের পাল্টা আক্রমণে ইরানের প্রধান পারমাণবিক ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রনাতাঞ্জআংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১৫০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এটি ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত, যেখানে হাজার হাজার সেন্ট্রিফিউজের মাধ্যমে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাও প্রদান করতে পারে বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ। ইরানের পারমাণবিক সংস্থা বলেছে, হামলায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও ঠিক কোন অংশ বা কোন পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এদিকে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা IAEA (International Atomic Energy Agency)-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরান সরকার নিশ্চিত করেছে যে ‘নাতাঞ্জ’ কেন্দ্রটি হামলায় ‘আক্রান্ত’ হয়েছে। তবে সেখানে তেজস্ক্রিয়তা বা বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, যা একটি আশ্বাসজনক দিক। গ্রোসি আরও জানান, ইরানের অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র — যেমন ইসফাহান এবং ফরদু — এই হামলায় কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। উল্লেখ্য, নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র অতীতেও একাধিকবার সাইবার হামলা ও বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। ২০১০ সালে এখানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে পরিচালিত ‘স্টাক্সনেট’ নামক একটি সাইবার ভাইরাস আক্রমণ চালানো হয়েছিল, যা বহু সেন্ট্রিফিউজ অকেজো করে দেয়। ২০২১ সালে একটি বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে, যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান।

 

ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ‘নাতাঞ্জ’ ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট সময় ১০:৩১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের শুক্রবারের পাল্টা আক্রমণে ইরানের প্রধান পারমাণবিক ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রনাতাঞ্জআংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১৫০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এটি ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত, যেখানে হাজার হাজার সেন্ট্রিফিউজের মাধ্যমে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাও প্রদান করতে পারে বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ। ইরানের পারমাণবিক সংস্থা বলেছে, হামলায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও ঠিক কোন অংশ বা কোন পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এদিকে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা IAEA (International Atomic Energy Agency)-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরান সরকার নিশ্চিত করেছে যে ‘নাতাঞ্জ’ কেন্দ্রটি হামলায় ‘আক্রান্ত’ হয়েছে। তবে সেখানে তেজস্ক্রিয়তা বা বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, যা একটি আশ্বাসজনক দিক। গ্রোসি আরও জানান, ইরানের অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র — যেমন ইসফাহান এবং ফরদু — এই হামলায় কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। উল্লেখ্য, নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র অতীতেও একাধিকবার সাইবার হামলা ও বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। ২০১০ সালে এখানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে পরিচালিত ‘স্টাক্সনেট’ নামক একটি সাইবার ভাইরাস আক্রমণ চালানো হয়েছিল, যা বহু সেন্ট্রিফিউজ অকেজো করে দেয়। ২০২১ সালে একটি বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে, যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান।