ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে আগাম শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন Logo মিয়ানমার সীমান্তে মধ্য রাতে গোলাগুলি, এপারে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা যুবক Logo শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস উইং Logo ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপির বৈঠক Logo শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Logo রোহিঙ্গা যুবকের হাতে বাংলাদেশী এনআইডি, কাজ করছেন সরকারি অধিদপ্তরে? Logo শেরপুরে মানব পাচারকালে ২৬ জন আটক Logo প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর অত্যন্ত সফল Logo সামনে পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচ্ছে : আমির খসরু Logo কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধের স্বর্গরাজ্য

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা মানিক মিয়া এভিনিউ ছবি : বাংলার সীমান্ত 


ব্যাটারিচালিত রিকশা সারা দেশ থেকে পূর্ণরূপে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের একটি অংশ। গতকাল রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এ  মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনকারীরা বলছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য নগর জীবনে নেমে এসেছে নিরাপত্তার সংকট। বর্তমানে শহর ও মহাসড়কের প্রতিটি মোড়ে, রাস্তায় ও গলিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের অনিয়ম, নৈরাজ্য, বেআইনি পার্কিং, ট্রাফিক আইন অমান্য ও হঠাৎ দিক পরিবর্তনের মতো কর্মকাণ্ডে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক সব ধরনের যানবাহনের চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে দুর্ভোগ।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে এসব অটোরিকশা চার্জ দেয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাপ বাড়ছে, ব্যাহত হচ্ছে বৈধ গ্রাহকদের সরবরাহ, আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনগণ, অর্থনীতি ও জাতীয় সম্পদ। মানববন্ধনে আসা তানভীর ইসলাম নামের একজন বলেন, আমরা চাই, এই অবৈধ রিকশাগুলো রাজধানীসহ সারা দেশে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা অতিদ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। যে কোনো গাড়ির জন্যই এসব রিকশা বিপজ্জনক। এদের না আছে কোনো ইন্ডিকেটর বাতি, না আছে ঠিকঠাক মতো লুকিং গ্লাস। তারা যেভাবে ইচ্ছে হয় সেভাবেই গাড়িগুলো চালায়। এর ফলে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা আজকে এখানে এসেছি সচেতন নাগরিক হিসেবে, সরকার যেন এই অবৈধ রিকশাগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়।

যে তিনটি দাবি নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে- ১. সড়ক ও মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে, ২. ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যন্ত্রাংশ আমদানি, রিকশা তৈরি ও বিক্রয় বন্ধ করতে হবে, ৩. বনানীতে অটোরিকশা চালকদের কর্তৃক নাগরিকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রাজধানীতে আগাম শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা মানিক মিয়া এভিনিউ ছবি : বাংলার সীমান্ত 


ব্যাটারিচালিত রিকশা সারা দেশ থেকে পূর্ণরূপে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের একটি অংশ। গতকাল রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এ  মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনকারীরা বলছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য নগর জীবনে নেমে এসেছে নিরাপত্তার সংকট। বর্তমানে শহর ও মহাসড়কের প্রতিটি মোড়ে, রাস্তায় ও গলিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের অনিয়ম, নৈরাজ্য, বেআইনি পার্কিং, ট্রাফিক আইন অমান্য ও হঠাৎ দিক পরিবর্তনের মতো কর্মকাণ্ডে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক সব ধরনের যানবাহনের চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে দুর্ভোগ।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে এসব অটোরিকশা চার্জ দেয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাপ বাড়ছে, ব্যাহত হচ্ছে বৈধ গ্রাহকদের সরবরাহ, আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনগণ, অর্থনীতি ও জাতীয় সম্পদ। মানববন্ধনে আসা তানভীর ইসলাম নামের একজন বলেন, আমরা চাই, এই অবৈধ রিকশাগুলো রাজধানীসহ সারা দেশে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা অতিদ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। যে কোনো গাড়ির জন্যই এসব রিকশা বিপজ্জনক। এদের না আছে কোনো ইন্ডিকেটর বাতি, না আছে ঠিকঠাক মতো লুকিং গ্লাস। তারা যেভাবে ইচ্ছে হয় সেভাবেই গাড়িগুলো চালায়। এর ফলে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা আজকে এখানে এসেছি সচেতন নাগরিক হিসেবে, সরকার যেন এই অবৈধ রিকশাগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়।

যে তিনটি দাবি নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে- ১. সড়ক ও মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে, ২. ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যন্ত্রাংশ আমদানি, রিকশা তৈরি ও বিক্রয় বন্ধ করতে হবে, ৩. বনানীতে অটোরিকশা চালকদের কর্তৃক নাগরিকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।