ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ৬২ হাজার ৮৯৫ Logo সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার, যুবক আটক  Logo জুলুস হবে জামেয়া থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত রোডম্যাপ ঘোষণা Logo তিন দফা দাবিতে চট্টগ্রামে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo চট্টগ্রাম বাকলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চায় চসিক Logo ভুয়া ডাক্তারকে জরিমানা, ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানে সিলগালা Logo উখিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরওয়ার সভাপতি ও সোলতান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত Logo উখিয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ১০ Logo রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধান খুঁজছে বাংলাদেশ Logo দাঁড়িপাল্লার বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে:শামসুল আলম বাহাদুর

কক্সবাজার এপিবিএন ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ১৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল আনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় ১১ জন নারী-পুরুষ ও ৩ জন এপিবিএন সদস্যসহ মোট ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যং গ্রামের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত স্থানীয়রা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম ও আবুল হোসেন, মো. শরিফ, রোকেয়া বানু, আছিয়া খাতুন, ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন, মো. বেলাল উদ্দিন, দেলোয়ারা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার।আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন- কনস্টবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান।

হোয়াইক্যং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা ও হামলায় আহত মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০-২২ জন সদস্য ক্যাম্পের বাইরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলেন। এসময় তাদের বলটি পাশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে পড়ে। পরে এপিবিএন সদস্যরা পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বলটি আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি জানার জন্য এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। এতে তারা আমার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে নিতে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। এতে আমিসহ ১১ জন আহত হয়েছি।

উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা আহত রোকেয়া বেগমের ছেলে হেলাল উদ্দিনও ঘটনার একই বর্ণনা দিয়ে ১১ জন আহতের কথা বলেন।

উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেকপোস্টে দায়িত্বরত এএসআই মো. নুরুন্নবী বলেন, বিকেলে ক্রিকেট খেলার মাঠে গ্রামবাসীর হামলায় উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের ৩ এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মাথায় ও পিঠে জখম হয়। আহতরা উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইআরসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিকেলে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনের মধ্যেই ভুলবোঝাবুঝির কারণে এপিবিএন পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে বসে সমাধান করে নেবো।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ৬২ হাজার ৮৯৫

কক্সবাজার এপিবিএন ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ১৪

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল আনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় ১১ জন নারী-পুরুষ ও ৩ জন এপিবিএন সদস্যসহ মোট ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যং গ্রামের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত স্থানীয়রা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম ও আবুল হোসেন, মো. শরিফ, রোকেয়া বানু, আছিয়া খাতুন, ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন, মো. বেলাল উদ্দিন, দেলোয়ারা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার।আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন- কনস্টবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান।

হোয়াইক্যং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা ও হামলায় আহত মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০-২২ জন সদস্য ক্যাম্পের বাইরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলেন। এসময় তাদের বলটি পাশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে পড়ে। পরে এপিবিএন সদস্যরা পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বলটি আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি জানার জন্য এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। এতে তারা আমার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে নিতে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। এতে আমিসহ ১১ জন আহত হয়েছি।

উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা আহত রোকেয়া বেগমের ছেলে হেলাল উদ্দিনও ঘটনার একই বর্ণনা দিয়ে ১১ জন আহতের কথা বলেন।

উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেকপোস্টে দায়িত্বরত এএসআই মো. নুরুন্নবী বলেন, বিকেলে ক্রিকেট খেলার মাঠে গ্রামবাসীর হামলায় উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের ৩ এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মাথায় ও পিঠে জখম হয়। আহতরা উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইআরসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিকেলে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনের মধ্যেই ভুলবোঝাবুঝির কারণে এপিবিএন পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে বসে সমাধান করে নেবো।