ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: মাহিন ও রবিন রিমান্ডে Logo নির্বাচনে বোঝা যাবে কারা দুই-তিনটা সিট পাবে, দেশছাড়া হবে: দুদু Logo দূষণবিরোধী অভিযানে ছয় মাসে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা Logo চকরিয়ায় মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান : কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার Logo কক্সবাজার হলিডে মোড় থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার Logo জামায়াতের সঙ্গে জোট বাদ দিয়ে এনসিপির জন্য দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন আহমেদ Logo চট্টগ্রাম বোর্ড: পাশের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ Logo কুমিল্লায় বুড়িচং মোকাম বড় বাড়ীর রাস্তা বন্ধ করে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo ওয়ানডে সিরিজ বাঁচাতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই  Logo সাবেক সিইসি শামসুল হুদা মারা গেছেন

কক্সবাজার এপিবিএন ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ১৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল আনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় ১১ জন নারী-পুরুষ ও ৩ জন এপিবিএন সদস্যসহ মোট ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যং গ্রামের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত স্থানীয়রা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম ও আবুল হোসেন, মো. শরিফ, রোকেয়া বানু, আছিয়া খাতুন, ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন, মো. বেলাল উদ্দিন, দেলোয়ারা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার।আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন- কনস্টবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান।

হোয়াইক্যং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা ও হামলায় আহত মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০-২২ জন সদস্য ক্যাম্পের বাইরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলেন। এসময় তাদের বলটি পাশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে পড়ে। পরে এপিবিএন সদস্যরা পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বলটি আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি জানার জন্য এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। এতে তারা আমার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে নিতে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। এতে আমিসহ ১১ জন আহত হয়েছি।

উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা আহত রোকেয়া বেগমের ছেলে হেলাল উদ্দিনও ঘটনার একই বর্ণনা দিয়ে ১১ জন আহতের কথা বলেন।

উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেকপোস্টে দায়িত্বরত এএসআই মো. নুরুন্নবী বলেন, বিকেলে ক্রিকেট খেলার মাঠে গ্রামবাসীর হামলায় উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের ৩ এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মাথায় ও পিঠে জখম হয়। আহতরা উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইআরসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিকেলে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনের মধ্যেই ভুলবোঝাবুঝির কারণে এপিবিএন পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে বসে সমাধান করে নেবো।

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: মাহিন ও রবিন রিমান্ডে

কক্সবাজার এপিবিএন ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ১৪

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল আনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় ১১ জন নারী-পুরুষ ও ৩ জন এপিবিএন সদস্যসহ মোট ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যং গ্রামের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত স্থানীয়রা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম ও আবুল হোসেন, মো. শরিফ, রোকেয়া বানু, আছিয়া খাতুন, ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন, মো. বেলাল উদ্দিন, দেলোয়ারা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার।আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন- কনস্টবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান।

হোয়াইক্যং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা ও হামলায় আহত মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০-২২ জন সদস্য ক্যাম্পের বাইরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলেন। এসময় তাদের বলটি পাশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে পড়ে। পরে এপিবিএন সদস্যরা পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বলটি আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি জানার জন্য এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। এতে তারা আমার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে নিতে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। এতে আমিসহ ১১ জন আহত হয়েছি।

উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা আহত রোকেয়া বেগমের ছেলে হেলাল উদ্দিনও ঘটনার একই বর্ণনা দিয়ে ১১ জন আহতের কথা বলেন।

উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেকপোস্টে দায়িত্বরত এএসআই মো. নুরুন্নবী বলেন, বিকেলে ক্রিকেট খেলার মাঠে গ্রামবাসীর হামলায় উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের ৩ এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মাথায় ও পিঠে জখম হয়। আহতরা উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইআরসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিকেলে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনের মধ্যেই ভুলবোঝাবুঝির কারণে এপিবিএন পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে বসে সমাধান করে নেবো।