ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ৬২ হাজার ৮৯৫ Logo সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার, যুবক আটক  Logo জুলুস হবে জামেয়া থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত রোডম্যাপ ঘোষণা Logo তিন দফা দাবিতে চট্টগ্রামে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo চট্টগ্রাম বাকলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চায় চসিক Logo ভুয়া ডাক্তারকে জরিমানা, ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানে সিলগালা Logo উখিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরওয়ার সভাপতি ও সোলতান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত Logo উখিয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ১০ Logo রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধান খুঁজছে বাংলাদেশ Logo দাঁড়িপাল্লার বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে:শামসুল আলম বাহাদুর

পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষকের বস্তাবন্দি লাশ মিললো পুকুরে!

নিখোঁজের ১৪ দিন পর কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের মরদেহ তার নিজ বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানায়, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এরপর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে শিক্ষকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ জানান, গত মাসের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তাঁর বড় ভাই পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে অবস্থান করেছিল বলে বিভিন্নজনে তাদেরকে জানান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে এবং মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ না পাওয়ায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাও দায়ের করা হয়। আজ বিকালে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে বস্তাবন্দি অবস্থায় থেকে তার বড় ভাই এর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

জানা যায়, শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের বাড়ি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকায়। তিনি ওই গ্রামের মরহুম মাস্টার বজল আহমদের ছেলে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অহরণের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তার পরিবার থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর পিতা রমিজ আহমদের বসতবাড়ি দুইটি দ্বিতল ভবনে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে চৌমুহনীস্থ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজমগীর ওরফে আজমের মালিকানাধীন মার্কেটের দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট চালানো হয়েছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষক আরিফের হত্যাকান্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবী জানিয়ে বলেন, আরিফ হত্যাকান্ড খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলা দিয়ে আমি ও আমার ভাইদের এলাকা ছাড়া করেছে। শুনলাম আজকে আমাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে,লুটপাট করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ৬২ হাজার ৮৯৫

পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষকের বস্তাবন্দি লাশ মিললো পুকুরে!

আপডেট সময় ১২:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

নিখোঁজের ১৪ দিন পর কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহৃত শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের মরদেহ তার নিজ বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানায়, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এরপর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে শিক্ষকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ জানান, গত মাসের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তাঁর বড় ভাই পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে অবস্থান করেছিল বলে বিভিন্নজনে তাদেরকে জানান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে এবং মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ না পাওয়ায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাও দায়ের করা হয়। আজ বিকালে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুরে বস্তাবন্দি অবস্থায় থেকে তার বড় ভাই এর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

জানা যায়, শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের বাড়ি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকায়। তিনি ওই গ্রামের মরহুম মাস্টার বজল আহমদের ছেলে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অহরণের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তার পরিবার থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর পিতা রমিজ আহমদের বসতবাড়ি দুইটি দ্বিতল ভবনে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে চৌমুহনীস্থ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজমগীর ওরফে আজমের মালিকানাধীন মার্কেটের দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট চালানো হয়েছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষক আরিফের হত্যাকান্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবী জানিয়ে বলেন, আরিফ হত্যাকান্ড খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলা দিয়ে আমি ও আমার ভাইদের এলাকা ছাড়া করেছে। শুনলাম আজকে আমাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে,লুটপাট করেছে।