ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা তরুণকে হত্যা

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির। ফাইল ছবি


উখিয়া প্রতিবেদক


কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী (ক্যাম্প-১৮) রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নূর কালাম (২৯) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) এম-১৭ ব্লকের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নূর কালাম উখিয়ার তাজনিমার ঘোনা (ক্যাম্প-১৯) আশ্রয়শিবিরের ডি-১৪ ব্লকের নূর সালামের ছেলে। মাদক চোরাচালান ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বাংলার সীমান্তকে বলেন, আজ রোববার ভোররাতে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর কালামকে অপহরণ করে রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের পাশের জায়গায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সন্ত্রাসীরা পাশের পাহাড়ে আত্মগোপন করে।

ঘটনাস্থলে নূর কালামের মৃত্যু হয়। সকালে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় এ হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়শিবিরের একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, নিহত নূর কালাম বছরখানেক আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি আরসা ছেড়ে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) যোগ দেন। এর পর থেকে আরসা সন্ত্রাসীরা নূর কালামকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আজ ভোরে তাঁকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরসা জড়িত বলেন সন্দেহ করা হচ্ছে।

আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার তদন্ত চলছে। আশ্রয়শিবিরে টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা তরুণকে হত্যা

আপডেট সময় ০১:৪১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির। ফাইল ছবি


উখিয়া প্রতিবেদক


কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী (ক্যাম্প-১৮) রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নূর কালাম (২৯) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) এম-১৭ ব্লকের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নূর কালাম উখিয়ার তাজনিমার ঘোনা (ক্যাম্প-১৯) আশ্রয়শিবিরের ডি-১৪ ব্লকের নূর সালামের ছেলে। মাদক চোরাচালান ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বাংলার সীমান্তকে বলেন, আজ রোববার ভোররাতে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর কালামকে অপহরণ করে রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের পাশের জায়গায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সন্ত্রাসীরা পাশের পাহাড়ে আত্মগোপন করে।

ঘটনাস্থলে নূর কালামের মৃত্যু হয়। সকালে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় এ হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়শিবিরের একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, নিহত নূর কালাম বছরখানেক আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি আরসা ছেড়ে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) যোগ দেন। এর পর থেকে আরসা সন্ত্রাসীরা নূর কালামকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আজ ভোরে তাঁকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরসা জড়িত বলেন সন্দেহ করা হচ্ছে।

আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার তদন্ত চলছে। আশ্রয়শিবিরে টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।