ছাত্র-জনতাকে গণহত্যা করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে না পেরে ৫ আগস্ট ‘প্রভুদেশ’ ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। কিন্তু আওয়ামী লুটেরাদের সাথে নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরে সীমাহীন লুটপাট করে ফোকলা করে ফেলেন দেশের অর্থনীতিকে। 

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের মহাসাগর লুটপাটের বোঝা বহন করতে হচ্ছে বর্তমান ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের জনগণকে। এমনই এক সময় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খুশীর সংবাদ আসল অর্থনীতির জন্য।

জানা গেছে, দেশের ব্যয়বহুল বেসরকারি খাতের বিদেশী ঋণ কমতে শুরু করেছে। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি বিদেশী ঋণ ব্যাপকভাবে পরিশোধ শুরু করা হয়েছে। মাত্র তিন মাসেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত না দিয়েও এমন পাঁচ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি দুই বিলিয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি তিন বিলিয়ন ডলার রয়েছে। ফলে শুধু বেসরকারি খাতেই বিদেশী ঋণ কমেছে ১২১ কোটি ডলার, যা শতকরা হিসেবে প্রায় ১১ ভাগ।

রিজার্ভে হাত না দিয়েও ৩ মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করে প্রশংসায় ভাসছেন ড. ইউনূস সরকার। একইসাথে অর্থনীতির এই ইতিবাচক ধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকায় প্রবাসীদেরও প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।

ফেসবুকে রাশেদ নামের এক ব্যাক্তি লিখেছেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যেভাবে দেশটাকে লুটেপুটে খাবলে খেয়েছে, দেশের জনগণ আর কবে বুঝবে। সেই টাকা এখন লুটপাট হয় না বিধায় দেশের উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে, ঋনের জালে ডুবে থাকা দেশটাকে উদ্ধার করা হচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম মারুফ লিখেছেন, ১৬ বছর তারা ঋণ করে করে উন্নয়নের মুলা ঝুলিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। আর আমরা রক্তকে পানি করে ঘাম ঝরিয়ে ইনকাম করা ডলার দিয়ে সেই ঋণ পরিশোধ করছি।

আসাদুজ্জামান ফরাজী লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, বিজয়ের এই মাসে মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা এই ধরনের সফলতা পাচ্ছি। আপনাদের প্রতি রইল বিজয়ের সশ্রদ্ধ সালাম।

মোঃ আমজাদ হোসাইন লিখেছেন, রিজার্ভে হাত না দিয়েও ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ হয়ে গেল ভারত সরকার দেখে নাও। আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমরা কোন দেশের উপর পরোয়া করি না। সব বাধ ভেঙ্গে কোমর খাড়া করে দাঁড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ।

ইয়াহইয়া আকন্দ লিখেছেন, তাহলে দেশ সঠিক পথেই আছে। আগামীতে যে দল সবচেয়ে বেশি ভারতবিরোধী হবে সেই দল ক্ষমতায় যাবে ইনশাআল্লাহ।

রাসেল আহমেদ লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ এমন সংবাদ শুনতে পেয়ে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। নিশ্চয় ড. ইউনূস স্যারের মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। এরপরেও আফসোস লীগ বলবে আগেই ভালো ছিলাম।আসলে চাটার দল খাটতে রাজি না।