ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮ সদস্য ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

রাখাইনে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ২৮ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মঙ্গলবার ভোরে নৌকায় করে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সশস্ত্রভাবে তাঁরা নাফ নদ পেরিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আত্নসমর্পণ করেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। টেকনাফের সাবরাং  ইউনিয়নের আঁচারবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির এসব সদস্য পালিয়ে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোরে নাফ নদের আঁচারবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে একটি কাঠের ট্রলারে অস্ত্রসহ বিজিপির অন্তত ২৮ জন সদস্য পালিয়ে আসেন। পরে তাঁরা সীমান্তে টহলরত বিজিবির সদস্যদের কাছে আত্নসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যদের হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবির দমদমিয়া বিওপিতে রাথা হয়েছে। এর আগে কয়েক দফায় সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৭৫২ জনকে তিন দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৯ জুন ১৩৪ জন ও ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনাসদস্য কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাটে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ট্যাগস :

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮ সদস্য ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

আপডেট সময় ০৫:২৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

রাখাইনে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ২৮ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মঙ্গলবার ভোরে নৌকায় করে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সশস্ত্রভাবে তাঁরা নাফ নদ পেরিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আত্নসমর্পণ করেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। টেকনাফের সাবরাং  ইউনিয়নের আঁচারবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির এসব সদস্য পালিয়ে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোরে নাফ নদের আঁচারবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে একটি কাঠের ট্রলারে অস্ত্রসহ বিজিপির অন্তত ২৮ জন সদস্য পালিয়ে আসেন। পরে তাঁরা সীমান্তে টহলরত বিজিবির সদস্যদের কাছে আত্নসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যদের হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবির দমদমিয়া বিওপিতে রাথা হয়েছে। এর আগে কয়েক দফায় সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৭৫২ জনকে তিন দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৯ জুন ১৩৪ জন ও ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনাসদস্য কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাটে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।