ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে আগাম শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন Logo মিয়ানমার সীমান্তে মধ্য রাতে গোলাগুলি, এপারে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা যুবক Logo শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস উইং Logo ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপির বৈঠক Logo শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Logo রোহিঙ্গা যুবকের হাতে বাংলাদেশী এনআইডি, কাজ করছেন সরকারি অধিদপ্তরে? Logo শেরপুরে মানব পাচারকালে ২৬ জন আটক Logo প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর অত্যন্ত সফল Logo সামনে পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচ্ছে : আমির খসরু Logo কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধের স্বর্গরাজ্য
বান্দরবান

কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না: সেনাপ্রধান

পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুই দিনে তিন ব্যাংকে ডাকাতি, অপহরণ ও বন্দুকযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রোববার দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সেনাপ্রধান রুমা ও থানচি উপজেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সেনাপ্রধান বলেন, “পাহাড়ের সশস্ত্র দল কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) শান্তি আলোচনা আমরা একটু বিশ্বাস করেছিলাম। (ভেবেছিলাম) শান্তি আলোচনা হচ্ছে, যেহেতু শান্তি আলোচনা শেষ হয়নি, শান্তির ভেতরেই শেষ হবে। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে, যার কারণে এই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন গত রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ; সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি এবং পাহাড়ে কোনো সন্ত্রাসী দলকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, “আতঙ্ক দূর করার জন্য আমরা সশরীরে এখানে এসেছি। যা আমাদের করণীয়, সর্বাত্মকভাবে করছি। ইনশাল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে।”

উল্লেখ্য, রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি দুই উপজেলাবাসীর। এসব তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটটি। তার মধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি। সবগুলো মামলায় আসামি অজ্ঞাতনামা।

ট্যাগস :

রাজধানীতে আগাম শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন

বান্দরবান

কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না: সেনাপ্রধান

আপডেট সময় ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুই দিনে তিন ব্যাংকে ডাকাতি, অপহরণ ও বন্দুকযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রোববার দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সেনাপ্রধান রুমা ও থানচি উপজেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সেনাপ্রধান বলেন, “পাহাড়ের সশস্ত্র দল কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) শান্তি আলোচনা আমরা একটু বিশ্বাস করেছিলাম। (ভেবেছিলাম) শান্তি আলোচনা হচ্ছে, যেহেতু শান্তি আলোচনা শেষ হয়নি, শান্তির ভেতরেই শেষ হবে। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে, যার কারণে এই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন গত রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ; সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি এবং পাহাড়ে কোনো সন্ত্রাসী দলকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, “আতঙ্ক দূর করার জন্য আমরা সশরীরে এখানে এসেছি। যা আমাদের করণীয়, সর্বাত্মকভাবে করছি। ইনশাল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে।”

উল্লেখ্য, রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি দুই উপজেলাবাসীর। এসব তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটটি। তার মধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি। সবগুলো মামলায় আসামি অজ্ঞাতনামা।