ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এনসিপির মঞ্চ ভাঙচুর পরে সমাবেশ শুরু Logo হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: মাহিন ও রবিন রিমান্ডে Logo নির্বাচনে বোঝা যাবে কারা দুই-তিনটা সিট পাবে, দেশছাড়া হবে: দুদু Logo দূষণবিরোধী অভিযানে ছয় মাসে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা Logo চকরিয়ায় মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান : কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার Logo কক্সবাজার হলিডে মোড় থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার Logo জামায়াতের সঙ্গে জোট বাদ দিয়ে এনসিপির জন্য দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন আহমেদ Logo চট্টগ্রাম বোর্ড: পাশের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ Logo কুমিল্লায় বুড়িচং মোকাম বড় বাড়ীর রাস্তা বন্ধ করে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে
বান্দরবান

কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না: সেনাপ্রধান

পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুই দিনে তিন ব্যাংকে ডাকাতি, অপহরণ ও বন্দুকযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রোববার দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সেনাপ্রধান রুমা ও থানচি উপজেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সেনাপ্রধান বলেন, “পাহাড়ের সশস্ত্র দল কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) শান্তি আলোচনা আমরা একটু বিশ্বাস করেছিলাম। (ভেবেছিলাম) শান্তি আলোচনা হচ্ছে, যেহেতু শান্তি আলোচনা শেষ হয়নি, শান্তির ভেতরেই শেষ হবে। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে, যার কারণে এই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন গত রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ; সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি এবং পাহাড়ে কোনো সন্ত্রাসী দলকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, “আতঙ্ক দূর করার জন্য আমরা সশরীরে এখানে এসেছি। যা আমাদের করণীয়, সর্বাত্মকভাবে করছি। ইনশাল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে।”

উল্লেখ্য, রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি দুই উপজেলাবাসীর। এসব তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটটি। তার মধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি। সবগুলো মামলায় আসামি অজ্ঞাতনামা।

ট্যাগস :

এনসিপির মঞ্চ ভাঙচুর পরে সমাবেশ শুরু

বান্দরবান

কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না: সেনাপ্রধান

আপডেট সময় ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুই দিনে তিন ব্যাংকে ডাকাতি, অপহরণ ও বন্দুকযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রোববার দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সেনাপ্রধান রুমা ও থানচি উপজেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সেনাপ্রধান বলেন, “পাহাড়ের সশস্ত্র দল কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) শান্তি আলোচনা আমরা একটু বিশ্বাস করেছিলাম। (ভেবেছিলাম) শান্তি আলোচনা হচ্ছে, যেহেতু শান্তি আলোচনা শেষ হয়নি, শান্তির ভেতরেই শেষ হবে। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে, যার কারণে এই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন গত রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন।

তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ; সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি এবং পাহাড়ে কোনো সন্ত্রাসী দলকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, “আতঙ্ক দূর করার জন্য আমরা সশরীরে এখানে এসেছি। যা আমাদের করণীয়, সর্বাত্মকভাবে করছি। ইনশাল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে।”

উল্লেখ্য, রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি দুই উপজেলাবাসীর। এসব তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটটি। তার মধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি। সবগুলো মামলায় আসামি অজ্ঞাতনামা।