ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগে গণহত্যার বিচার পরে অন্যকাজ: আমীরে জামায়াত

  • মারজান চৌধুরী
  • আপডেট সময় ১২:৫২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: বাংলার সীমান্ত


‘২৪ এর গণহত্যার বিচার অবশ্যই আগে করতে হবে, তারপরে অন্যকাজ। তা না হলে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনীতির সাথে চাঁদাবাজি, দুর্বৃত্তের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতের আমীর বলেন, আগে যেমন চাঁদাবাজি ছিল, এখনো আছে। এ চাঁদাবাজি যারা করছে বন্ধ করতে হবে।

জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে মজলুম দল উল্লেখ করে ড়া.শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এখনো নিবন্ধন ফিরে পাইনি। জামায়াত একটা মাত্র দল যে দলের নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছে। দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই দল আল্লাহর আইন চায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোনো অপকর্ম জামায়াত ইসলামীকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যে দলই অতীতে ক্ষমতায় এসেছে তারা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। জামায়াতের কারও বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ নেই।

এসময় জামায়াত আমীর বলেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কারো উসকানিতে আমরা কারো ক্ষতি করতে দেবো না। পলাতক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর এখন দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের আমীর।

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহাম্মদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ,জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ শাহজাহানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের কর্মী সম্মেলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। তবে নারীরা কলেজের মাঠের বিপরীতে অবস্থিত ইলিয়াস মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসে নেতাদের কথা শুনেন। প্রায় তিন লাখ মানুষের সমাগমকে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জামায়াতের নিজস্ব প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন।

আগে গণহত্যার বিচার পরে অন্যকাজ: আমীরে জামায়াত

আপডেট সময় ১২:৫২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: বাংলার সীমান্ত


‘২৪ এর গণহত্যার বিচার অবশ্যই আগে করতে হবে, তারপরে অন্যকাজ। তা না হলে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনীতির সাথে চাঁদাবাজি, দুর্বৃত্তের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতের আমীর বলেন, আগে যেমন চাঁদাবাজি ছিল, এখনো আছে। এ চাঁদাবাজি যারা করছে বন্ধ করতে হবে।

জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে মজলুম দল উল্লেখ করে ড়া.শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এখনো নিবন্ধন ফিরে পাইনি। জামায়াত একটা মাত্র দল যে দলের নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছে। দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই দল আল্লাহর আইন চায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোনো অপকর্ম জামায়াত ইসলামীকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যে দলই অতীতে ক্ষমতায় এসেছে তারা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। জামায়াতের কারও বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ নেই।

এসময় জামায়াত আমীর বলেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কারো উসকানিতে আমরা কারো ক্ষতি করতে দেবো না। পলাতক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর এখন দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের আমীর।

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহাম্মদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ,জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ শাহজাহানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের কর্মী সম্মেলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। তবে নারীরা কলেজের মাঠের বিপরীতে অবস্থিত ইলিয়াস মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসে নেতাদের কথা শুনেন। প্রায় তিন লাখ মানুষের সমাগমকে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জামায়াতের নিজস্ব প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন।