আওয়ামী সন্ত্রাসী অনেকে এখন বিএনপিতে ঢুকে পড়ছে। বিএনপির একশ্রেণির সুবিধাবাদী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের পূর্ব বাকলিয়া বলিরহাট ১৮ নং ওয়ার্ড এলাকায়। বাকলিয়া আওয়ামী লীগের নেতা এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরমান,এমরান ও ইরফান স্থানীয় বিএনপির আলোচনা সভায় বিএনপি নেতাদের পাশে বসে বক্তৃতা করায় বাকলিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়,পূর্ব বাকলিয়া বলিরহাট এলাকার বাসিন্দা মো: আরমান (৩৮), এমরান (৩০) ও মো: ইরফান কুখ্যাত জমির দালাল ও জাল দলিলকারক হিসাবে পরিচিত। বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রমরমা জমির দালালি ব্যবসা করে। এ চক্রের ফাঁদে আটকা পড়ে বহু লোক সর্বস্বান্ত হয়। বলিরহাট,পূর্ব বাকলিয়া,দক্ষিণ বাকলিয়া এবং ১৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় এরা ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত।
এলাকাবাসী জানায়,আরমান,এমরান, এবং ইমরান তারা আব্দুল নবী সাওদাগরের তিন ছেলে। তারা বাকলিয়া ১৮ নং ওয়ার্ডের বলিরহাট এলাকার বাসিন্দা। সব সময় একসঙ্গে ঘোরাফেরা করে। এরা অবৈধ অস্ত্রধারী। এছাড়া ১৮ নং আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ,আবু তৈয়ব বাবু,মোঃ কফিল উদ্দিন সহ সাবেক শিক্ষা মন্ত্রীর ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য হিসাবে পরিচিত।
এদের অন্যতম কাজ সাধারণ মানুষের জমি দখল করা এবং বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের মধ্যে জাল-জালিয়াতি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জমি বায়না করা। পরবর্তীতে ওই জমি বহুগুণ দামে কিনতে বাধ্য করা। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে মস্তানি করা এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বেআইনিভাবে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে এরা এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
এ চক্রের গডফাদার কমিশনার হারুনু রশিদ আত্মগোপনে থাকলেও গ্রেফতার এড়াতে মো: আরমান,মো:এমরান ও মো: ইরফান এখন ভোল পাল্টে বিএনপিতে ঢুকে পড়েছে। এখন তারা বলার চেষ্টা করছেন আগে বিএনপি করতেন। অথচ এদের কারণে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের সময় বিএনপির বহু নেতাকর্মী রাতে বাসায় ঘুমাতে পারেনি। মো: আরমান,মো:এমরান ও মো: ইরফানের দ্বারা নানাভাবে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা এদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া বিএনপির এক আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ড়া. শাহাদাত হোসেন বাংলার সীমান্তকে বলেন, তিনি ১৭ বছর পর এলাকায় প্রকাশ্যে মিছিল মিটিং করছেন। যে কারণে অনেককে তিনি চেনেন না। এজন্য তার অজান্তে ওই সভায় আওয়ামী লীগের মানুষ বিএনপি সেজে ডুকে পড়ছে তিনি আরো বলেন স্থানীয় দায়িত্বশীলকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।