ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্দ্বীপ আজ থেকে ক ল ঙ্ক মুক্ত : প্রধান উপদেষ্টা

  • মরজান আহমদ
  • আপডেট সময় ১১:১২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের অন্যতম উপকূলীয় দ্বীপ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সঙ্গে স্বাধীনতার অর্ধশতক বছর পরেও কার্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে না ওঠা লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি চালুর পর উপজেলা পরিষদের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ৫০ বছর পার হয়ে গেলো, শহর-বন্দরসহ সব কিছু চলছে, সন্দ্বীপ যাদের বাড়ি তাদের মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়ি যেতে হয়। এটা তারা সহ্য করে যাচ্ছে, এটা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। আজ আমরা সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ রুটে ফেরি চালু হওয়ার কারণে এখন সবাই নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। যারা শিশু,অসুস্থ, বৃদ্ধ তাদের নিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখানে আরও সুযোগ সুবিধা বাড়বে। এখন সন্দ্বীপ যেতে মানুষ যেন ভয় না করে। এখন শুধু নিজেরা যাবো না, বন্ধুবান্ধব সবাইকে নিয়ে, বিদেশ থেকে যারা আসবে সবাইকে নিয়ে যাবো। সন্দ্বীপের লোক সারা আমেরিকা ঘুরে আসছে, নিউইয়র্কে অসংখ্য সন্দ্বীপের লোক। গর্ব করা উচিত যে, চট্টগ্রাম শহরে যা পাওয়া যায় না, সেটা সন্দ্বীপে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, সন্দ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আপনাদের টিকে থাকতে হয়। আমি এই এলাকারই মানুষ, তাই আপনাদের জীবনযাত্রা আমি কাছে থেকে দেখেছি। সেখানে সরাসরি গাড়ি চলাচলের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে একজন রোগীকে নিরাপদে হাসপাতালে নেওয়া যেত না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সন্দ্বীপকে নৌবন্দর ঘোষণা কুমিরা গুপ্তছড়া ঘাট উন্মুক্ত করা, ঢাকা-কুমিরা বাস চালু করা, ফেরিঘাট এলাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং নৌপথে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই ছোট ছোট উদ্যোগগুলো সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমিয়ে আনবে।

তিনি বলেন, সন্দ্বীপের মানুষ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। আমি আপনাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ উপজেলায় উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আজ এই মাইলফলক অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ৫০ বছরেও যে কাজ হয়নি আজ খুব কম সময়ে সম্পন্ন করেছেন তারা। ফেরি চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সব কিছু আপনারা করবেন বলে আশা রাখি। এইভাবে ভারসাম্যমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সন্দ্বীপ এই অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেবে।

সন্দ্বীপ আজ থেকে ক ল ঙ্ক মুক্ত : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:১২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

দেশের অন্যতম উপকূলীয় দ্বীপ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সঙ্গে স্বাধীনতার অর্ধশতক বছর পরেও কার্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে না ওঠা লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি চালুর পর উপজেলা পরিষদের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ৫০ বছর পার হয়ে গেলো, শহর-বন্দরসহ সব কিছু চলছে, সন্দ্বীপ যাদের বাড়ি তাদের মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়ি যেতে হয়। এটা তারা সহ্য করে যাচ্ছে, এটা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। আজ আমরা সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ রুটে ফেরি চালু হওয়ার কারণে এখন সবাই নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। যারা শিশু,অসুস্থ, বৃদ্ধ তাদের নিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখানে আরও সুযোগ সুবিধা বাড়বে। এখন সন্দ্বীপ যেতে মানুষ যেন ভয় না করে। এখন শুধু নিজেরা যাবো না, বন্ধুবান্ধব সবাইকে নিয়ে, বিদেশ থেকে যারা আসবে সবাইকে নিয়ে যাবো। সন্দ্বীপের লোক সারা আমেরিকা ঘুরে আসছে, নিউইয়র্কে অসংখ্য সন্দ্বীপের লোক। গর্ব করা উচিত যে, চট্টগ্রাম শহরে যা পাওয়া যায় না, সেটা সন্দ্বীপে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, সন্দ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আপনাদের টিকে থাকতে হয়। আমি এই এলাকারই মানুষ, তাই আপনাদের জীবনযাত্রা আমি কাছে থেকে দেখেছি। সেখানে সরাসরি গাড়ি চলাচলের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে একজন রোগীকে নিরাপদে হাসপাতালে নেওয়া যেত না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সন্দ্বীপকে নৌবন্দর ঘোষণা কুমিরা গুপ্তছড়া ঘাট উন্মুক্ত করা, ঢাকা-কুমিরা বাস চালু করা, ফেরিঘাট এলাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং নৌপথে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই ছোট ছোট উদ্যোগগুলো সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমিয়ে আনবে।

তিনি বলেন, সন্দ্বীপের মানুষ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। আমি আপনাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ উপজেলায় উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আজ এই মাইলফলক অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ৫০ বছরেও যে কাজ হয়নি আজ খুব কম সময়ে সম্পন্ন করেছেন তারা। ফেরি চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সব কিছু আপনারা করবেন বলে আশা রাখি। এইভাবে ভারসাম্যমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সন্দ্বীপ এই অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেবে।