ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন আছিয়া: ন্যায় বিচার চাই মা 

মাগুরায় নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটি আর নেই। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটি বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুর পর আছিয়ার মা জানান, ঘটনার সময় বাড়ির অন্যরা বাইরে থাকলেও একজন বয়স্ক নারী উপস্থিত ছিলেন, যিনি সবকিছু দেখেছেন। তবে এই বিষয়ে কোনো তথ্য আগেই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আছিয়ার মা বলেন,আমার ছোট মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। আমার বড় মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই তাকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হতো। আমি শুধু ন্যায়বিচার চাই। যারা এই নির্মম ঘটনায় জড়িত,তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আছিয়া একাধিকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর আগের দুই দিন সে কোমায় ছিল, এবং ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থা জটিল হতে থাকে।

তার মামা বলেন,আমরা চাই, এই ঘৃণ্য অপরাধের যথাযথ বিচার হোক। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হবে না।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছিয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। পরিবার ও স্বজনরা এখন শুধুই আছিয়ার জন্য ন্যায়বিচার চায়।

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন আছিয়া: ন্যায় বিচার চাই মা 

আপডেট সময় ১০:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটি আর নেই। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটি বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুর পর আছিয়ার মা জানান, ঘটনার সময় বাড়ির অন্যরা বাইরে থাকলেও একজন বয়স্ক নারী উপস্থিত ছিলেন, যিনি সবকিছু দেখেছেন। তবে এই বিষয়ে কোনো তথ্য আগেই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আছিয়ার মা বলেন,আমার ছোট মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। আমার বড় মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই তাকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হতো। আমি শুধু ন্যায়বিচার চাই। যারা এই নির্মম ঘটনায় জড়িত,তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আছিয়া একাধিকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর আগের দুই দিন সে কোমায় ছিল, এবং ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থা জটিল হতে থাকে।

তার মামা বলেন,আমরা চাই, এই ঘৃণ্য অপরাধের যথাযথ বিচার হোক। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হবে না।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছিয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। পরিবার ও স্বজনরা এখন শুধুই আছিয়ার জন্য ন্যায়বিচার চায়।