ছবির ক্যাপশনঃ- মাদরাসাতুন নূর উখিয়ায় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, তরুণরাই বাংলাদেশে জাতীয় সম্পদ। দেশ পরিচালনার শক্তি আছে তরুণদের কাছে। আমরা যদি তরুণদের নির্দেশনা দিতে পারি তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্ধকার দূরিভূত হয়ে নতুন আলোর জন্ম দিবে। তরুণদের মাঝে আকাঙ্খা আছে, উদ্দীপনা আছে। এ দেশের আলেম ওলামা ও বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সহযোগিতার মধ্য দিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি। ক্ষমতা মানুষের হাতে নয়, ক্ষমতা আল্লাহর হাতে। সম্মান কুড়াতে ষাট বছর লাগে, সম্মান হারাতে ১ ঘন্টাও লাগে না। টাকার পেছনে ঘুরলে টাকা পাওয়া যায় না, টাকার মালিককে ধরলে টাকা পাওয়া যায়। আমরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আপনাদের সহযোগীতা থাকলে দীর্ঘদিনের সিস্টেম ভেঙ্গে সুন্দর, আদর্শ বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ জাতিকে উপহার দিতে পারবো। জুলাই বিপ্লবে অনেক রক্ত ঝরেছে। এ বিজয়কে ধরে রাখতে হবে। আর ভেদাভেদ নয়, আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যায়। এই বাংলাদেশ কোরানের দেশ। কোরআনের জান্ডা উঠবেই উঠবে।  

মাদরাসাতুন নূর উখিয়া সিকদারবিল এলাকায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার সময়ে ইসলামী মহা সম্মেলন ও দাওয়াহ কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যুবকদের মাদক ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ, মদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল এ সমস্ত নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও তরুণদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। আমরা জানি উখিয়া-টেকনাফে কারা ইয়াবা আনে, বিক্রি করে এবং তাদের গডফাদারদের এ দেশের মানুষ চেনে। বাংলাদেশে ১ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার মাদক বেচা-বিক্রি হয়। ১ লক্ষ ষাট হাজার মানুষ নিয়মিত মাদক সেবন করে। যারা নিয়মিত মাদক সেবন করে তাদের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। মাদক সেবনকারি বেহেশতে যাবে না। অতএব মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদের তরুণদের রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। 

আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, হজ প্যাকেজের ১ লক্ষ টাকা কমানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরা জাকাত বোর্ড গঠন করেছি। জাকাত সংগ্রহ করে সঠিকভাবে বন্টন করা যায় ১ বছরে ২৭ হাজার কোটি টাকা জাকাত ফান্ডে জমা হবে। এই টাকা সঠিকভাবে বিতরণ করা গেলে উখিয়া-টেকনাফে ভিক্ষা করার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিগত ১০ বছরে জাকাত নিতে গিয়ে মানুষের ধাক্কাধাক্কিতে পদদলিত হয়ে তিনশ জন মানুষ মারা গেছে। এই সিস্টেম থেকে বের হয়ে আমরা জাকাত ব্যবস্থাকে সুষম, সুন্দর বৈজ্ঞানিক যৌক্তিক করতে চাই। এ ছাড়া ইমাম মোয়াজ্জিনদের জন্য পে-স্কেল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খলিলিয়া ছিদ্দিকিয়া ফয়জুল উলুম ধাওনখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সাবেক সাংসদ ও হুইফ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ। উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী, মাদ্রাসা নূর উখিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ। উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা মুফতি রিদুয়ানুল কাদির প্রমুখ।