ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধনে নেতারা

ফ্যাসিবাদের দোসর নবনিযুক্ত দুই উপদেষ্টা

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ, ছবি: বাংলার সীমান্ত


অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত দুই উপদেষ্টাকে  ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে আখ্যা দিয়ে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

তারা বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারীদের অবহিত না করেই উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তারা নতুন সরকার গঠন করতে প্রস্তুত। গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে তারা রক্ত দিয়ে মাঠে থাকবেন।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তারা।

‘বিপ্লবের চেতনা নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার প্রতিবাদে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

গত রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের এমপি সেখ আফিল উদ্দিনের ভাই ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা নবনিযুক্ত বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকীর নিয়োগের বিরোধিতা করে আসছেন।

সরকারের উদ্দেশে মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থী, নাগরিক ও শ্রমিক-জনতার সঙ্গে মশকরা বন্ধ করেন। এভাবে আর বেশি দিন চলবে না। ফ্যাসিবাদের নুন যারা খেয়েছে; আমরা কোনো ফরমেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আর যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে বলব– সরকার ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারের কথা উঠেছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল। এখন আমাদের অবহিত না করেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধদের জীবনের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কথা ছিল– ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকীর দিকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছেন, তাদের উপদেষ্টা হিসেবে রাখার পক্ষে আমরা নই। যিনি ২০১৩ সালে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে হেফাজতে ইসলামের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছেন, এমনকি ৫ আগস্টের পরও ৩২ নম্বর বাড়ি সংস্কারের কথা বলেছেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে, তাঁকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কানিজ ফাতেমা, রিফাদ রশীদ, তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে রোববার রাতে ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম উত্তরবঙ্গ থেকে একজন উপদেষ্টাও নিয়োগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘শুধু একটি বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টি জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই! তার ওপর খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!’

একই দিন ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আওয়ামী সুবিধাভোগীদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল মৎস্য ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা ঢুকে যাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। আর সেখ বশির উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক জানায়, শেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক সভা পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল ওই সভা থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়া দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভার শুরুতে ৮-১০ জন প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তারা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর পর পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এর পর সভা পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল– ‘পতিত আওয়ামী পাপেট সরকারের দালাল, স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ফারুকী ও বশিরকে উপদেষ্টা বানানোয় প্রতিবাদ সভা’। ব্যানারের নিচে খেলা ছিল– ‘তাওহিদি ছাত্র জনতা’।

কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, আটক পাঁচজনকে মুচলেকা নিয়ে রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

যশোর প্রতিবেদক জানায়, শেখ বশিরকে সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শহরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় অবিলম্বে বশিরের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল শেষে দড়াটানা চত্বরে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। পথসভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান, সুকর্ণ মারুফ, নূর ইসলাম, এস কে সুজন প্রমুখ।

সিলেট প্রতিবেদক জানায়, ছাত্র-জনতার সম্মতি ছাড়া উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার বিকেলে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল-সমাবেশ হয়।

মিছিল শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত হয়েছে বিপ্লব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধনে নেতারা

ফ্যাসিবাদের দোসর নবনিযুক্ত দুই উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৮:৩৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ, ছবি: বাংলার সীমান্ত


অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত দুই উপদেষ্টাকে  ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে আখ্যা দিয়ে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

তারা বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারীদের অবহিত না করেই উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তারা নতুন সরকার গঠন করতে প্রস্তুত। গণঅভ্যুত্থান রক্ষা করতে তারা রক্ত দিয়ে মাঠে থাকবেন।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তারা।

‘বিপ্লবের চেতনা নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার প্রতিবাদে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

গত রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের এমপি সেখ আফিল উদ্দিনের ভাই ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা নবনিযুক্ত বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকীর নিয়োগের বিরোধিতা করে আসছেন।

সরকারের উদ্দেশে মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থী, নাগরিক ও শ্রমিক-জনতার সঙ্গে মশকরা বন্ধ করেন। এভাবে আর বেশি দিন চলবে না। ফ্যাসিবাদের নুন যারা খেয়েছে; আমরা কোনো ফরমেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আর যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে বলব– সরকার ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারের কথা উঠেছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল। এখন আমাদের অবহিত না করেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধদের জীবনের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। কথা ছিল– ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকীর দিকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছেন, তাদের উপদেষ্টা হিসেবে রাখার পক্ষে আমরা নই। যিনি ২০১৩ সালে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে হেফাজতে ইসলামের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছেন, এমনকি ৫ আগস্টের পরও ৩২ নম্বর বাড়ি সংস্কারের কথা বলেছেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে, তাঁকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কানিজ ফাতেমা, রিফাদ রশীদ, তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে রোববার রাতে ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম উত্তরবঙ্গ থেকে একজন উপদেষ্টাও নিয়োগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘শুধু একটি বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টি জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই! তার ওপর খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!’

একই দিন ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আওয়ামী সুবিধাভোগীদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল মৎস্য ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা ঢুকে যাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। আর সেখ বশির উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক জানায়, শেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক সভা পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল ওই সভা থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়া দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভার শুরুতে ৮-১০ জন প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তারা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর পর পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এর পর সভা পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল– ‘পতিত আওয়ামী পাপেট সরকারের দালাল, স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ফারুকী ও বশিরকে উপদেষ্টা বানানোয় প্রতিবাদ সভা’। ব্যানারের নিচে খেলা ছিল– ‘তাওহিদি ছাত্র জনতা’।

কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, আটক পাঁচজনকে মুচলেকা নিয়ে রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

যশোর প্রতিবেদক জানায়, শেখ বশিরকে সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শহরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় অবিলম্বে বশিরের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল শেষে দড়াটানা চত্বরে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। পথসভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান, সুকর্ণ মারুফ, নূর ইসলাম, এস কে সুজন প্রমুখ।

সিলেট প্রতিবেদক জানায়, ছাত্র-জনতার সম্মতি ছাড়া উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার বিকেলে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল-সমাবেশ হয়।

মিছিল শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত হয়েছে বিপ্লব।