ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ১ বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবির ক্যাপশনঃ- উখিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিস।


উখিয়া সব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়। নিবন্ধন, দলিল তৈরি, জাবেদা নকল সংগ্রহসহ  ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের জন্য প্রতিদিন সেখানে আনা-গোনা বহু মানুষের। প্রতি দলিলের জন্য জমির মূল্যের সাড়ে দশ শতাংশ, দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় জাবেদা নকল সংগ্রহে সাত টাকা, এবং বছর ভিত্তিক প্রতিটি ফাইল তল্লাশির জন্য বিশ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অথচ প্রায় প্রত্যেক কাজের জন্য গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন টাকা। এসব অনিয়ম দুর করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও একটি দুর্নীনিমুক্ত অফিস হিসেবে দেখতে চান সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যলয়কে। এখানে দলিল লেখক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। সরকারি মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত  টাকা না দিলে দলিল রেজিষ্ট্রি তো দূরের কথা দলিল লেখাও সম্পাদন করেন না। সাব রেজিষ্ট্রারের নামে ও বিভিন্ন ভাবে কমপক্ষে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা অতিরিক্ত না দিলে তারা কেউই দলিল রেজিষ্ট্রি করতে চান না। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উখিয়ার সাব-রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এখানে যে ঘাটতিগুলো আছে তা নিরসন করার চেষ্টা করবো। আর যদি দায়িত্বে অবহেলা বা ঘুষ লেন-দেন হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে আমার নাম দিয়ে যদি কোন দলিল লেখন অতিরিক্ত টাকা বা ঘুষ নিয়ে থাকেন তাহলে সাথে সাথে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন। ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়নি সুতরাং ঘুষ খাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশটাকে নতুন করে সাজাতে আমরা সবাই মিলে মানুষের সেবক হয়ে কাজ করি। তাহলেই মানুষ প্রকৃত সেবা পাবে। আগের মতো অনেকেই মনে করেন দুর্নীতি আর অনিয়মের আকড়ায় পরিণত হয়েছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস। সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। দ্রুত সময়ের মধ্যে দলিল লেখকদের সিন্ডিকেট দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তা গ্রাহকদের ভুগান্তি আরো বাড়াবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের গোরাইয়ারদ্বীপ এলাকার আলা উদ্দিন সিকদার বলেন, জমি রেজিষ্ট্রি করতে দলিল লিখক আমার কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দাবি করেন। সাব রেজিষ্ট্রারের অফিস খরচ হিসেবে এই অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দলিল লেখকরা। উখিয়া সাব রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, গত ১ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। তিনি তার অফিসে কোন প্রকার অবৈধ কর্মচারি নেই দাবি করে বলেন, নিয়মের বাইরে কোন প্রকার লেন-দেন না করতে এবং তার নামে কোন দলিল লেখক টাকা নিয়ে থাকলে সাথে সাথে তার কাছে ধরে আনার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি নিজে এবং তার অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চান বলে জানান।

উখিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ১ বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়

আপডেট সময় ০৩:২৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছবির ক্যাপশনঃ- উখিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিস।


উখিয়া সব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়। নিবন্ধন, দলিল তৈরি, জাবেদা নকল সংগ্রহসহ  ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের জন্য প্রতিদিন সেখানে আনা-গোনা বহু মানুষের। প্রতি দলিলের জন্য জমির মূল্যের সাড়ে দশ শতাংশ, দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় জাবেদা নকল সংগ্রহে সাত টাকা, এবং বছর ভিত্তিক প্রতিটি ফাইল তল্লাশির জন্য বিশ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অথচ প্রায় প্রত্যেক কাজের জন্য গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন টাকা। এসব অনিয়ম দুর করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও একটি দুর্নীনিমুক্ত অফিস হিসেবে দেখতে চান সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যলয়কে। এখানে দলিল লেখক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। সরকারি মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত  টাকা না দিলে দলিল রেজিষ্ট্রি তো দূরের কথা দলিল লেখাও সম্পাদন করেন না। সাব রেজিষ্ট্রারের নামে ও বিভিন্ন ভাবে কমপক্ষে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা অতিরিক্ত না দিলে তারা কেউই দলিল রেজিষ্ট্রি করতে চান না। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উখিয়ার সাব-রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এখানে যে ঘাটতিগুলো আছে তা নিরসন করার চেষ্টা করবো। আর যদি দায়িত্বে অবহেলা বা ঘুষ লেন-দেন হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে আমার নাম দিয়ে যদি কোন দলিল লেখন অতিরিক্ত টাকা বা ঘুষ নিয়ে থাকেন তাহলে সাথে সাথে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেন। ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়নি সুতরাং ঘুষ খাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশটাকে নতুন করে সাজাতে আমরা সবাই মিলে মানুষের সেবক হয়ে কাজ করি। তাহলেই মানুষ প্রকৃত সেবা পাবে। আগের মতো অনেকেই মনে করেন দুর্নীতি আর অনিয়মের আকড়ায় পরিণত হয়েছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস। সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। দ্রুত সময়ের মধ্যে দলিল লেখকদের সিন্ডিকেট দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তা গ্রাহকদের ভুগান্তি আরো বাড়াবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের গোরাইয়ারদ্বীপ এলাকার আলা উদ্দিন সিকদার বলেন, জমি রেজিষ্ট্রি করতে দলিল লিখক আমার কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দাবি করেন। সাব রেজিষ্ট্রারের অফিস খরচ হিসেবে এই অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দলিল লেখকরা। উখিয়া সাব রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, গত ১ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। তিনি তার অফিসে কোন প্রকার অবৈধ কর্মচারি নেই দাবি করে বলেন, নিয়মের বাইরে কোন প্রকার লেন-দেন না করতে এবং তার নামে কোন দলিল লেখক টাকা নিয়ে থাকলে সাথে সাথে তার কাছে ধরে আনার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি নিজে এবং তার অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চান বলে জানান।