ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

  • মরজান আহমদ
  • আপডেট সময় ০২:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

অবরোধের সময়ের খণ্ডচিত্র |ফাইল ছবি


পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহারের চাহিদা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে পাওয়া যায়।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি করা হয়েছিল।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে পৃথক দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এবং গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার।

বিজ্ঞপ্তি দু’টিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এবং দুপুর ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহারের চাহিদা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক মারমা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনসহ গত শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়। অবরোধ চলাকালে জেলা শহরে পাহাড়ি-বাঙালি দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরদিন রোববার গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলাসহ রামসু বাজারে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় তিনজন নিহত হয় এবং সেনা, বিজিবি, পুলিশ, সংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

ট্যাগস :

মিয়ানমার সীমান্তে মধ্য রাতে গোলাগুলি, এপারে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা যুবক

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

আপডেট সময় ০২:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

অবরোধের সময়ের খণ্ডচিত্র |ফাইল ছবি


পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহারের চাহিদা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে পাওয়া যায়।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি করা হয়েছিল।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে পৃথক দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এবং গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার।

বিজ্ঞপ্তি দু’টিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এবং দুপুর ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহারের চাহিদা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক মারমা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনসহ গত শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়। অবরোধ চলাকালে জেলা শহরে পাহাড়ি-বাঙালি দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরদিন রোববার গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলাসহ রামসু বাজারে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় তিনজন নিহত হয় এবং সেনা, বিজিবি, পুলিশ, সংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।